পিলখানা-সোহানুর রহমান

পিলখানা হত্যাকান্ড ও বিচার প্রক্রিয়াঃঃ


মূল রায়টি প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠার !!
এই রায়ে এক হাজার পৃষ্ঠার বেশি পর্যবেক্ষণ রয়েছে !!
সর্বোপরি সন্তুষ্টির বিষয় হলো
বিচার কার্য প্রায় শেষ পর্যায়ে(এখনো শষ হয়নি)!!
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়...
’২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার পরের মাসেই বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ঢাকার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ।
বিদ্রোহের মামলায় বিডিআর বাহিনীর বিশেষ আদালতে ৬ হাজার জওয়ানের কারাদণ্ডের পর পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মামলাটির বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে।
শুনানি শেষ হওয়ার সাত মাস পর হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ রায় দেওয়া শুরু করেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষ হতে ২ দিন সময় লাগার কথা বলেন এই বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি মো. শওকত হোসেন।!!
বিচারপতি মো. শওকত হোসেন বলেছেন, ‘রায় পড়া কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী গতকাল তাঁর পর্যবেক্ষণ পড়ে শোনান।
এ মামলার সাড়ে আটশ’ আসামির মধ্যে,
১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন জজ আদালত।
রায়ে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আটজন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জজ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
১২ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া জজ আদালতে খালাস পাওয়া যে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল,
তাদের মধ্যে ৩১ জনকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এছাড়া চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং
৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষনঃ
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট সাত দফা সুপারিশ করে বলেছেন, কোনো রকম ষড়যন্ত্র ছাড়া পিলখানায় এতো বড় হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে না।
ভেতর বা বাইরে থেকে ইন্ধন থাকতে পারে বলেও বলাহয়েছে পর্যবেক্ষনে।
সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল।

1 comment:

Powered by Blogger.